খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ জনের
  অপারেশন ডেভিল হান্টে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেপ্তার ৪৬১

বাগেরহাটে আহত বিএনপি নেতার মৃত্যুতে বিক্ষোভ, আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে সংঘর্ষে আহত কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নব নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক শওকত হোসেনের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় ৯দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর বৃহম্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়।

ইউনিয়র বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে গত ১১ ফেব্রুয়ারী প্রতিদন্ধি আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হন বিএনপি নেতা শওকত হোসেনসহ তার গ্রুপের ১৫ নেতাকর্মী। হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ওইদিন প্রথমে তাকে বাগেরহাট জেলা ২৫০ বেড হাসপাতালে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আজ বিএনপির এই নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিকালে ক্ষুব্দ বিএনপি নেতাকর্মীর আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীর গ্রামের বাড়ী ঘেরাও করে করে রাখলে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সেখানে পৌছে হায়দারকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বিএনপির উত্তেজিত নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। সন্ধ্যায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেপাড়া বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাগেরহাট-টিতলমারী সড়ক অবরোধ করে দেপাড়া বাজারের সশ্রস্ত্র অবস্থায় বিক্ষোভ করছে। সব দোকাপট বন্ধ হয়ে গেছে। দেপাড়া বাজার থেকে সদর থানা পুলিশ বিএনপির আরো দুইজনকে আটক করেছে। তবে, তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের নাম ও পরিচয় জানাতে পরেনি।

নিহত বিএনপি শওকাত হোসেনের ভাই লিয়াকত হোসেনের জানান, ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে আমার প্রতিদন্ধি প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমি ও আমার ভাই ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নব নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক শওকত হোসেনসহ ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে আমিসহ আমার ভাই শওকাত হোসেন ও যুবদল নেতা জুয়েল রানাকে প্রথমে বাগেরহাট ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শওকাতে অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৯দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে তিনি মারা যান। হামলার বিষয় অস্বীকার করে আফজাল হোসেন বলেন, ‘শওকতের হামলার সঙ্গে আমি বা আমার অনুসারী কোনো নেতাকর্মী জড়িত না।’

কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, ধোপাখালীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারির বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে আহত ওয়ার্ড বিএনপির নবগঠিত কমিটির সাধারন সম্পাদক শওকাত হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছে। বিষয়টি জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিমকে জানানো হয়েছে। ধোপাখালীতে বিএনপির ক্ষুব্দ নেতার্কীদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থল রয়েছি। কচুয়া, বাগেরহাট সদর ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীকে তার গ্রামের বাড়ী থেকে আটক হয়েছে। বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ আরো দুইজনকে আটক করেছে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!